অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ডিভাইসের মুল্য ২০১৯। কোনটি কিনবেন ?
অ্যাক্সেস কন্ট্রোল এর মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি কখন আসছে আর কখন বের হচ্ছে সেটার সময় জানা যায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে, তাই এটা বাংলাদেশে টাইম এটেন্ডেন্স হিসেবেও পরিচিত। দেশে অ্যাক্সেস কন্ট্রোল এর চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে তাই স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, অফিস আদালত সহ বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ব্যবহার হচ্ছে।
অ্যাক্সেস কন্ট্রোল বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে যেমন-
পাঞ্চ কার্ডঃ পাঞ্চ কার্ডের মধ্যে ছোট চিপ বসানো থাকে যার মধ্যে সকল তথ্য সংরক্ষন করা থাকে। পাঞ্চ কার্ডটি ছোট থাকায় সহজে বহন করা যায়। পাঞ্চ কার্ডটির সাথে অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের ঘর্ষণ করলে ডিভাইসটি পাঞ্চ কার্ডের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখে এবং মিলে গেলে কাজ করে। এই ধরনের সুবিধা যুক্ত ডিভাইস গুলা কম মুল্যের হয়ে থাকে এবং সাধারন মানের সিকিউরিটি প্রদান করে থাকে।
পিন কোডঃ পিন কোড হচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট নাম্বার, যেটা অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ডিভাইসের মধ্যে সংরক্ষন থাকে, নির্দিষ্ট কিছু নাম্বার দিলে যদি মিলে যায় তবে অটোমেটিক কাজ করবে। এই ডিভাইসগুলো মোটামুটি মানের সিকিউরিটি দিয়ে থাকে এবং মুল্য ২,০০০ হাজার থেকে শুরু।
আর এফ আইডি কার্ডঃ আর এফ আইডি কার্ডের মধ্যে একটি ছোট চিপ থাকে যার মধ্যে ছয় ডিজিটের কোড থাকে যেটা দিয়ে অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের সাথে টাচ করলেই অথবা কাছাকাছি ধরলেও কাজ করে। অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের ডাটাবেজে সবগুলা তথ্য সংরক্ষন করা থাকে। আর এফ আইডি কার্ড সুবিধা যুক্ত ডিভাইস এর মুল্য ৫,০০০ হাজার থেকে শুরু। এই ডিভাইসগুলো মোটামুটি মানের সিকিউরিটি প্রদান করে থাকে।
ফিঙ্গারপ্রিন্টঃ ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তির সর্বচ্চো নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। প্রত্যেকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইউনিক। একটা ভাল মানের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দশ হাজারের উপরে ফিঙ্গার চিনতে পারে। বিভিন্ন মডেলের উপর দাম নির্ভর করে এবং ১০,০০০ হাজার থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডিভাইসের মূল্য শুরু।
রেটিনাঃ রেটিনা পদ্ধতি চোখের সাথে ম্যাচ করে কাজ করে। কোন ব্যাক্তি অ্যাক্সেস কন্ট্রোলের সামনে দাড়ালে এবং তাকানোর সাথে সাথে চোখ স্কান করে নিবে এবং ডাটাবেজে থাকা তথ্যের সাথে মিলে গেলে কাজ করবে। অধিক নিরাপত্তার জন্য এখন রেটিনা স্ক্যানার ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফেসঃ ফেস ডিটেকশন পদ্ধতির মাধ্যমে এই সিস্টেমটি কাজ করে। ডাটাবেসে থাকা পূর্বনির্ধারিত ব্যাক্তির ফেস এর সাথে মিলে গেলে আক্সেস কন্ট্রোলটি কাজ করে। ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ফেস ডিটেকশন আক্সেস কন্ট্রোল ব্যাবহার করা হয়।
দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যাক্সেস কন্ট্রোল পাওয়া যায় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটির ব্র্যান্ডের নাম এবং কনফিগারেশন নিচে দেওয়া হলঃ
জেডকেটেকো অ্যাক্সেস কন্ট্রোলঃ জেডকেটেকো অ্যাক্সেস কন্ট্রোল দেশে অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড, যেটা স্বয়ংক্রিয় ভাবে ফিঙ্গার প্রিন্ট এর মাধ্যমে একজন ব্যাক্তির আসা যাওয়ার সময় সংরক্ষণ করে এবং ফেস সনাক্ত করতে পারে। আরএফআইডি কার্ড অপশন আছে, টি সি পি / আই পি, ইউ এস বি সাপোর্ট করে, মাইক্রো এস ডি কার্ড সাপোর্ট করে, ডোর সেন্সর, এক্সজিট বাটন থাকে।
ভারদি অ্যাক্সেস কন্ট্রোলঃ ভারদি অ্যাক্সেস কন্ট্রোল দেশে এখন বেশ জনপ্রিয়। এটি ফিঙ্গার প্রিন্ট এর সাথে ফেস ডিটেক্ট করতে পারে। বিভিন্ন ভাষা সাপোর্ট করে, এল সি ডি ডিসপ্লে থাকে, পানি প্রতিরোধক, পাওয়ার ফুল প্রসেসর থাকে, দশ হাজারের উপরে ফিঙ্গার সংরক্ষণ করতে পারে।
অ্যানভিজ অ্যাক্সেস কন্ট্রোলঃ অ্যানভিজ অ্যাক্সেস কন্ট্রোল শুধুমাত্র ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য ব্যাবহার হয়ে থাকে। একজন ব্যাক্তি কখন ঢুকছে আর কখন বের হচ্ছে এর সময় দেখা যায়। একসাথে সাত জনের বেশি মানুষ ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে পারে। থ্রিজি কমিউনিকেশন করা যায়, ডাটা ট্রান্সফার করা যায়।
সুপ্রিমা অ্যাক্সেস কন্ট্রোলঃ সুপ্রিমা অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ফিঙ্গার প্রিন্ট এর সাথে ই-এম কার্ড পাঞ্চ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে পঞ্চাশ হাজারের উপরে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংরক্ষণ করা যায় তবে সেটা দামের উপর নির্ভর করে। ফ্লাস মেমরি থাকে।
গ্রান্ডিং অ্যাক্সেস কন্ট্রোলঃ গ্রান্ডিং অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ফিঙ্গার প্রিন্টারের সাথে অনেক দ্রুততার সাথে ফেস সনাক্ত করতে পারে। গ্রান্ডিং অ্যাক্সেস কন্ট্রোলে বিশ হাজারের উপরে ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্যাপাসিটি থাকে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও ডাটা সংরক্ষিত থাকে। ভয়েস প্রমোট থাকে, ইউ স বি পোর্ট সাপোর্ট করে।
ইলেকট্রনিক ডোর লকঃ আটো ডোর লকের মাধ্যমে কোন কার্ড বা ফিঙ্গার পাঞ্চ করলেই অটো ডোর খুলে যায়। দেশে অটো ডোর লকের চাহিদা অনেক বাড়ছে। সুইং ডোর, কার্ভড ডোর, ফোল্ড ডোর, প্যানিক ডোর সবগুলাকেই অটো লক করা যায়।